Uncategorized

যে খাবারগুলো সবসময় এড়িয়ে চলা উচিত

এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাবার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া উচিত। ফুড সেফটি নিয়ে সংঘটিত অনেক গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে, এমন অনেক স্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে যেগুলো আসলে শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর সে সম্পর্কে আপনাদের কোন ধারনা-ই নেই!

সেক্ষেত্রে তাজা সবজি আপনার শরীরের উপকারের থেকে ক্ষতি করে বেশি। কি অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে নিশ্চয়? চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক। 

১। ফলের জুস 

জুস আমাদের সবার পছন্দের একটি খাবার এবং তা যদি হয় তাজা ফলের রস থেকে তৈরি তাহলে তো কোন কথা-ই নেই। তবে একটি খারাপ সংবাদ হচ্ছে আজ থেকে এই তাজা ফলের জুস খাওয়া বন্ধ করে দিন কারণ ফ্রেশলি স্কুইজড জুস থেকে ভাইরাস এবং ব্যক্টেরিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন রোগ ছড়াতে পারে।

তাই এর বদলে পাস্তুরাইজড জুস খেতে পারেন। তবে সব থেকে ভালো হয় যদি জুস না করে শুধু তাজা ফল খান। 

২। কাঁচা দুধ

কাঁচা দুধকে কোনভাবেই স্বাস্থ্যকর বলা চলেনা এমনকি গরুর মালিক যদি গরুর খুব ভালভাবে যত্ন নিয়ে থাকে তাও। কাঁচা দুধে বিভিন্ন ধরণের ভাইরাস এবং ব্যক্টেরিয়া থাকার সম্ভবনা থাকে যা শুধু ফুটানোর মাধ্যমেই বিনাশ করা সম্ভব।

তাই কোনভাবেই দুধের তৈরি কিছু রান্না করতে গেলে তাতে সরাসরি কাঁচা দুধ মেশাবেন না। শুধু খাওয়ার জন্য হোক বা কোন কিছু রান্না করার জন্য আগে ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভালভাবে দুধ ফুটিয়ে নিবেন তারপর ব্যবহার করবেন। 

৩। সিদ্ধ মাছ 

সারভিল ইউনিভার্সিটির এক স্প্যানিশ বিজ্ঞানীর গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে, স্বাদু পানির মাছ সিদ্ধ করলে তার থেকে মাত্র ১৮% জীবননাশ কারি সায়ানো টক্সিন দূর করা যায়। বাকি অংশটুকু সিদ্ধ করার সময় পানির সাথে মিশে যায় এবং মাছের মধ্যে ঢুকে যায়।

সেক্ষেত্রে ভাপে সিদ্ধ করা মাছ রান্না করে খেতে পারেন। যেটা স্টিম পদ্ধতি নামেও পরিচিত। এতে করে ২৬% সায়ানো টক্সিন দূর হয় এবং বাকিটাও অতটা ক্ষতি করতে পারেনা। তবে অবশ্যই সামুদ্রিক মাছ এবং ফিশ স্যুপ খাওয়া থেকে সাবধান থাকবেন। 

৪। প্রসেসড মিট 

আমেরিকান স্টাডি এটা নিশ্চিত করেছে যে, সব ধরণের মাংসজাতীয় পণ্যে নাইট্রেট এবং নাইট্রাইট থাকে, তা যত উন্নতমানের-ই হোক না কেন। আর এর থেকেই হতে পারে ভয়াবহ ক্যান্সার।

১০০ কিলোগ্রাম গরুর মাংসের থেকে ১০০ কিলোগ্রাম সসেজে ৪০০% বেশি লবণ এবং ৫০% বেশি ফ্যাট থাকে। তাহলে আপনি কোনটা বেছে নিবেন? সেটা নিশ্চয় আর আমাদের বলে দেওয়া লাগবেনা। 

৫। অঙ্কুরিত খাবার

অনেকসময়ই দেখা যায় যে অনেক দিন ধরে ঘরে রাখা আলু বা পেঁয়াজ অঙ্কুরিত হয়ে যায়। তবে সেগুলোকে উপেক্ষা করেই আমরা তা কেটে খেয়ে ফেলি। কিন্তু এই অঙ্কুরিত শস্যতে ই-কোলাই এবং স্যালমোনেলার মত ব্যক্টেরিয়া থাকে যেটা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই আজ থেকেই এই ধরণের খাবার খাওয়া ছেড়ে দিন। 

৬। যেকোন চিপস

চিপসের মত দুই বা ততোধিক উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাকেজিং করা খাবার হতে পারে আপনার শরীরের জন্য হুমকিস্বরূপ। এগুলো তৈরির সময় এতে প্রিজারভেটিভেস হিসাবে বিউটিলেটেড হাইড্রক্সি অ্যানিসল এবং বিউটিল হাইড্রক্সি টলুইন ব্যবহার করা হয়।

আর এগুলো অধিক মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে তা থেকে আপনার হরমোনের সমস্যা দেখা দিবে। এছাড়াও নিয়মিত এগুলো খেলে তা থেকে ক্যন্সারের টিউমার সৃষ্টি হওয়ার আশংখা থাকে। এর বদলে নিজের হাতের তৈরি করা খাবার জারে করে সংরক্ষণ করে খান। 

তাহলে আজ থেকেই এই খাবারগুলো খাওয়া বন্ধ করে দিন। কারণ এগুলো না খেয়েও আপনি দিব্যি সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published.

Back to top button